,

ফেভারিটদের বিশ^কাপ স্কোয়াড

সময় ডেস্ক ॥ ব্রাজিলসহ বিশ্বকাপের সব ফেভারিটই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। ব্রাজিল দলে রবার্তো ফিরমিনো বাদ পড়া ছাড়া তেমন কোনো চমক নেই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের স্কোয়াডেও চমক নেই। চোটের কারণে তাদের মিডফিল্ডের দুই স্তম্ভ পল পগবা ও এনগোলা কন্তের না থাকাটা আগেই জানা গিয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপ হিরো মারিও গোয়েতজেকে ফিরিয়ে চমক দিয়েছে বরং জার্মানি। টিনেজার আন্তোনিও সিলভাকে দলে টেনে চমক দিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালও। সে তুলনায় ইংল্যান্ডের একাদশ বেশ ভারসাম্যপূর্ণই। আর বুড়ো সুয়ারেজ-কাভানিকে নিয়ে আসছে দুই বারের শিরোপাজয়ী উরুগুয়ে।
ব্রাজিল, মাঝমাঠে সৃজনশীলতার অভাব- বরাবরের মতো কাতারেও তারকায় ঠাসা দল নিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল। নেইমারের নেতৃত্বে পাঁচ বারের শিরোপাজয়ীদের আক্রমণভাগে আছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনহা, অ্যান্থনি, রিচার্লিসন, রদ্রিগোর মতো তারকারা। ফিরমিনোর বাদ পড়া নিয়ে অনেকেই যুক্তি তুলে ধরেছেন, এই দলের কাকে বাদ দিয়ে লিভারপুল তারকাকে ঢুকাবেন তিতে! তবে তারকাখচিত ব্রাজিল একজন সৃজনশীল মিডফিল্ডারের অভাবে ভুগতে পারে। ক্লাব ফুটবলে নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে না পারলেও জাতীয় দলে কিন্তু বেশ সৃষ্টিশীল ছিলেন কুতিনহো। তাঁর এই কাজটা কে করবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়। লুকাস পাকেতাকে দিয়ে এ কাজ হবে না বরং ব্রুনো গুইমারেসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্রান্স, মাঝমাঠে অভিজ্ঞতার অভাব- কিলিয়ান এমবাপ্পে ও অ্যান্তিনিও গ্রিজম্যানের সঙ্গে করিম বেনজেমা যুক্ত হওয়ায় রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়েও ধারালো আক্রমণভাগ নিয়ে কাতারে নামবে ফ্রান্স। কিন্তু তাঁদের বলের জোগান দেবেন কে? গত আসরে মাঝমাঠ থেকে যে দু’জন এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানদের কাছে বিরামহীনভাবে বল পাঠাতেন, সেই পল পগবা ও এনগোলা কন্তে তো এবার নেই। দু’জনই চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। তাঁদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন দুই তরুণ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও আরেলিও চুয়েমানি। দু’জনই বেশ প্রতিভাবান। এ কারণেই কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করে তাঁদের দলে ভিড়িয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো সর্বোচ্চ আসরে এই দুই তরুণ কি পারবেন এত বড় ভার বইতে!
জার্মানি, গোয়েতজে চমক- ২০১৪ বিশ্বকাপ হিরো গোয়েতজেকে ফিরিয়ে বড় চমক দিয়েছেন জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ৩০ বছর বয়সী গোয়েতজে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ২০১৭ সালের নভেম্বরে। সেই সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড ইউসুফা মউকাকোকেও দলে নিয়েছে জার্মানি। তবে চোটের কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে ছিটকে গেছেন তারকা ফরোয়ার্ড মারকো রেউস। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানদের মূল তারকা ছিলেন তিনি। চোটের কারণে তিনি ছিটকে গেলেও ওই আসরে ব্রাজিল থেকে কাপ জিতে এনেছিল জার্মানরা। ২০১৮ বিশ্বকাপে রেউস খেললেও প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরুতে পারেনি তারা। এবারও দল ঘোষণার দুই দিন আগে চোটে পড়েন ৩৩ বছর বয়সী এ তারকা। অবশ্য চোটাক্রান্ত হওয়ার পরও থমাস মুলারকে রাখা হয়েছে।
পর্তুগাল, অভিজ্ঞতাই ভরসা- কাতারে পর্তুগালের ভরসা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা এবারের বিশ্বকাপেরও অন্যতম আকর্ষণ। তবে তাঁর সঙ্গে ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার পেপের জায়গা পাওয়া ছিল চমক। অবশ্য শুধু পেপেই নন, অভিজ্ঞ কাউকেই বাদ দেয়নি পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বার্নার্দো সিলভাসহ তারকাদের প্রায় সবাই জায়গা পেয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে টিনএজার আন্তোনিও সিলভাও আছেন। কেবল পিএসজির মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেজ বাদ পড়েছেন।
স্পেন, অভিজ্ঞতার অভাব- লিভারপুলের সময় খারাপ গেলেও তাদের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকানতারা বেশ ভালো খেলছেন। কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তাঁর। লুইস এনরিখের দলে জায়গা হয়নি আরেক অভিজ্ঞ সার্জিও রামোসের। এমনকি ম্যানইউর তারকা গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াও বাদ পড়েছেন। তাঁদের বদলে গাভি, পেদ্রো, ফেরান তোরেসের মতো তরুণদের ওপর ভরসা রেখেছেন কোচ।


     এই বিভাগের আরো খবর